
বহুরূপী বিড়াল!! .
কথায় আছে,একটি বিড়াল নয় বার জীবন ধারণ করতে পারে। তবে শুনতে অবাক লাগলেও কমলা সোনালী গাত্রবর্ণের একটি বিড়াল তার নিজের বর্ণ ছাড়াও আরও পাঁচটি রং ধারণ করতে পারে। বলছি "এশীয় সোনালী বিড়াল" এর কথা। বহুরূপী এ বিড়াল আমাদের দেশেও পাওয়া গেছে।
ব্যাপারটি শুরুতে এমনই বিভ্রান্তিকর ছিল যে বিজ্ঞানীরা প্রথমবার একটি বিড়ালকেই বারবার দেখে ভেবেছিল এখানে একাধিক প্রজাতির বিড়াল আছে।
"এশীয় সোনালী বিড়াল" দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া,ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন-জঙ্গলে দেখা যায়। এদের আবাসস্থল বাংলাদেশেও রয়েছে। তবে বৈধ রেকর্ডে এদের দেখা পাওয়ার দৃষ্টান্ত হাতে গোনা।.
এদের মাথা থেকে শরীরের দৈর্ঘ্য ৬৬ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হঅতে পারে। এ বিড়ালের লেজের দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৫৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হঅতে পারে।
১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডঃ রেজা খান পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একটি সোনালী বিড়ালের চামড়া সংগ্রহ করেন। পাখি পর্যবেক্ষক রোনাল্ড হালদার জানান বান্দরবান জেলায় পাখির ছবি তুলতে গিয়ে সোনালী বিড়ালের দেখা পেয়েছিলেন। প্রায় এক দশক পর,ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (সিসিএ) নামক এক সংরক্ষণ সাঙ্গু-মাতামুহুরীর সংরক্ষিত বনে ক্যামেরা-ট্র্যাপ স্থাপন করার পর সেখানে সোনালী বিড়ালের উপস্থিতি ধরা পড়ে। সম্প্রতি সিলেট বিভাগে প্রথমবারের মত একটি পদ্ধতিগত ক্যামেরা ট্র্যাপ জরিপে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বনভূমিতে এশীয় সোনালী সোনালী বিড়ালের দেখা পাওয়া যায়। এই প্রজাতি বেশ বিরল হওয়ায় সারাদেশে এই বিড়াল দেখার নজির ১০ বারেরও কম।
বাংলাদেশে দেখা বিড়ালগুলোর মধ্যে এর আগে সোনালী,ধূসর ও কালো রঙের মরফের রেকর্ড পাওয়া গেলেও এবারই প্রথম দারুচিনি রঙের বিড়াল আবিষ্কার হল।
এ বিড়াল বর্তমানে বিলুপ্তির মুখে। বাংলাদেশে এ প্রজাতির সম্ভাব্য ব্যাপ্তি দুই হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও কম জায়গায়। শিকারিরা আবাসস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি চামড়া ও পশমের জন্য এদের অস্তিত্বেকেই মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।.
.
নিউজ উইন ২৪ / মারিয়া সুলতানা
আপনার মতামত লিখুন: